ধর্মীয় বিশ্বাস বদলে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারটি বেছে নিয়েছেন ইসলাম ধর্ম।
একটাই টেস্ট খেলেছেন বিকাশ রঞ্জন দাস। ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন তাতেই। কেননা সেটা ছিল বাংলাদেশেরই প্রথম টেস্ট। ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে একটাই উইকেট পেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের এই ফাস্ট বোলার। বোল্ড করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার সদাগোপান রমেশকে। সেই ম্যাচের আম্পায়ার স্টিভ বাকনার লেগ স্টাম্পে লাগা বেলটা উপহার দেন বিকাশকে। সেটা এখনো রেখে দিয়েছেন যত্ন করে। একমাত্র টেস্টটা খেলার পর ওলটপালট হয়ে গেছে জীবনটা। ইনজুরির জন্য জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন খুব কম বয়সে। পেস ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন স্পিন কিন্তু ধার ছিল না তাতে। সে সময় এখনকার মতো ফিজিও, ট্রেনার, ডাক্তার আর বোলিং কোচ পেলে ক্যারিয়ারটা আরো দীর্ঘায়িত হতো বলে আফসোস করেন প্রায়ই। পেসারদের যে নিজেদের আলাদা করে যত্ন নিতে হয় এটাই জানা ছিল না বিকাশের। [ad id=’1571′]
ধর্মীয় বিশ্বাস বদলে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট দলের সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারটি বেছে নিয়েছেন ইসলাম ধর্ম। এখন তিনি পরিচিত মাহমুদুল হাসান নামে। এ জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে যথেষ্ট। একটা পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এই পেসারের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কঠিন সেই সময়টায় জীবনসংগ্রামে টিকে থেকেছেন টিউশনি করে। তবে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন সব সময়। এ জন্য সহজে পেয়ে গেছেন ইস্টার্ন ব্যাংকের চাকরিটা। তাতে সংসারে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। অভিমান ভুলে সম্পর্ক পুনর্স্থাপন হয়েছে মা-বাবার সঙ্গেও। তাঁর জীবনসঙ্গিনীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
ব্যাংকারদের বরাবরই ছকে বাঁধা জীবন। সেই জীবন থেকে অবশ্য হারিয়ে যায়নি ক্রিকেট। প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেন মাঝেমধ্যে। আছেন ইস্টার্ন ব্যাংকের ক্রিকেট দলে। এমনকি জাতীয় দলের পেসার শফিউল ইসলামের আবিষ্কারকও তিনি। পিংক সিটির প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সময় তাদের পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার ছিলেন এই পেসার। নওগাঁর নেটে শফিউলকে দেখে বাছাই করেছিলেন তিনিই।